ইমাম মাহদী আ. ইমামতি করবেন
ঈ’সা আ. দামেস্কের মসজিদে অবতরণ করবেন এবং হেঁটে মসজিদের ভিতরে ঢুকবেন। তখন মুসলিমরা সালাতের জন্য প্রস্তুত। সালাতের ইকামাহ হয়ে গেছে। ইমাম মাহদী সায়্যিদিনা ঈ’সা আ. কে দেখতে পাবেন এবং তিনি পিছনে সরে আসবেন। তারপর তিনি তাঁকে সালাতের ইমামতি করার জন্য বলবেন। কিন্তু সায়্যিদিনা ঈ’সা আ. ইমাম মাহদীকে বলবেন যে যেহেতু এই ইকামাহ আপনার জন্য দেয়া হয়েছে, কাজেই সালাত আপনিই পড়াবেন।
আর এটি এই উম্মাহর জন্যে একটি সম্মানের ব্যাপার যে, সায়্যিদিনা ঈ’সা ইবনে মারইয়াম আ. মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসারীদের মধ্যে একজনের ইমামতিতে সালাত আদায় করবেন। অবশ্য এই সালাতের পর ঈ’সা আ. দায়িত্ব নিবেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
وَأَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ، لِأَنَّهُ لَمْ يَكُنْ بَيْنِي وَبَيْنَهُ نَبِيٌّ، وَإِنَّهُ نَازِلٌ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَاعْرِفُوهُ: رَجُلٌ مَرْبُوعٌ إِلَى الْحُمْرَةِ وَالْبَيَاضِ، عَلَيْهِ ثَوْبَانِ مُمَصَّرَانِ كَأَنَّ رَأْسَهُ يَقْطُرُ، وَإِنْ لَمْ يُصِبْهُ بَلَلٌ.
অর্থ: “আমি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈসা আ. এর সবচেয়ে নিকটবর্তী, কারণ আমার আর তার মাঝে কোন নবী নেই, তিনি ঈ’সা আ.। তিনি আবার আসবেন। যখন তোমরা তাকে দেখবে তাকে চিনে রেখো- মধ্যম লম্বা একজন মানুষ, লালচে এবং সুন্দর, দুইটি পাতলা হলুদ রঙের জামা পরা, দেখে মনে হবে যেন তার মাথা থেকে পানির ফোঁটা পড়ছে, যদিও তার মাথা থাকবে শুকনো।” (মুসনাদে আহমাদ, খন্ড ১৫, পৃষ্ঠা ১৫৩-১৫৪)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেন,
إِذْ هَبَطَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ بِشَرْقِيِّ دِمَشْقَ عِنْدَ المَنَارَةِ البَيْضَاءِ بَيْنَ مَهْرُودَتَيْنِ وَاضِعًا يَدَيْهِ عَلَى أَجْنِحَةِ مَلَكَيْنِ
অর্থ: “যখন ঈসা ইবনে মারইয়াম আ. দামেস্কের পূর্বদিকের সাদা মিনারের পাশে অবতরণ করবেন তার দুই হাত থাকবে ফেরেশতাদের ডানার ওপর।” (সুনানে তিরমিযী, চতুর্থ খন্ড, পৃষ্ঠা ৫১২)
ঈসা আ. এসে যখন মুসলিমদের নেতা হবেন তিনি কোন আইন প্রতিষ্ঠা করবেন?
তিনি যখন বনী-ঈসরাইলের মাঝে এসেছিলেন তিনি মুসা আ. এর আইন, তাওরাত অনুসরণ করেছেন। আর এরপর যখন তাঁর আবার আগমন হবে তখন তিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আইন প্রতিষ্ঠা করবেন, অর্থাৎ আল কুরআন।
আসলে সবই ইসলাম। মুসা আ. এর বাণী ছিল ইসলাম, ঈ’সা আ. এর বাণী ছিল ইসলাম, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণীও ইসলাম। কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের বিস্তারিত বর্ণনায় কিছুটা পার্থক্য ছিল। যাদের প্রতি পথনির্দেশ দেয়া হয়েছিল, সেইসব মানুষদের গ্রহণযোগ্যতার উপর ভিত্তি করে এই ভিন্নতা ছিল। কিন্তু মূল কথা অভিন্ন। যখন ঈ’সা আ. আসবেন তিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আইন অনুসরণ করবেন। সুবহানাল্লাহ, এটাও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্য সম্মানের যে ঈ’সা আ. তাঁকে অনুসরণ করবেন।
আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরেক হাদীসে বলেন,
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ أَنَّ مُوسَى كَانَ حَيًّا، مَا وَسِعَهُ إِلَّا أَنْ يَتَّبِعَنِي
অর্থ: “...যদি আজকে মুসা আ. বেঁচে থাকতেন তবে আমাকে অনুসরণ করাই তার কর্তব্য হতো এবং তিনি আমার অনুসরণ করবেন।” (মুসনাদে আহমাদ, খন্ড ২৩ পৃষ্ঠা ৩৪৯)
বই পরিচিতি:
বইয়ের নাম : দাজ্জাল মহাপ্রলয় ও বিচার দিবস
সংকলন ও সম্পাদনা: মাওলানা মুহাম্মাদ ইসহাক খান
প্রকাশনায় : খান প্রকাশনী
প্রথম প্রকাশ : মার্চ, ২০১৮
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩০০+
মূদ্রিত মূল্য : ৩৬০ টাকা।
প্রি অর্ডার স্পেশাল মূল্য ১৫৫ টাকা মাত্র।
প্রি অর্ডার লিংক http://bit.ly/2FxKCVQ
দাজ্জালের মৃত্যু (৯ বার পঠিত )
মহাপ্রলয় (৯ বার পঠিত )
ইয়াজুজ মাজুজ (দাজ্জাল, মহাপ্রলয় ও বিচার দিবস বই থেকে) (৮ বার পঠিত )
কিয়ামতের নবম আলামত (৮ বার পঠিত )
আস সুর (শিংগায় ফুতকার) (৮ বার পঠিত )
রূহানী মেথড অফ হাকীম আল-মীযান (৮ বার পঠিত )